মাদ্রাসা ফর রুরাল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এম. আর. সি. ডি.)
(ইন্সটিটিউট ফর রুরাল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত)

ঠিকানাঃ সাপমারা , রায়পুরা, নরসিংদী।
প্রসপেক্টাস

সূচনা বক্তব্য: 

ইন্নাল হামদালিল্লাহ! ওয়াস্সলাতু ওয়াসসালামু ‘আলা রসুলিল্লাহ। দ্বীন  ইসলাম এর ভাল বাসায় সিক্ত  প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম! 

সাম্প্রতিক কয়েক দশকে আমাদের দেশে ইসলামি শিক্ষার নামে বহু স্কুল  ও কিন্ডার গার্টেন স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এগুলোর অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত  ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের অনাকাংখিত  অনুকরণের পথে ধাবিত হয়েছে। এ ধরনের গতানুগতিকতা পরিহার করে  একটি উত্তম শিক্ষা উপস্থাপন করাই আমাদের অংগীকার। 

পূর্ব কথাঃ

আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুটি বৃহৎ ভাগে ভাগ করা যায়।  যথাঃ সাধারণ শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষা।  আবার প্রত্যেক ভাগেরই বিভিন্ন উপ ভাগও রয়েছে।  বৃহৎ দুটি ভাগ নিয়েই আমারা আলোচনা করবো।

সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতরা শুধু দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে। মহান আল্লাহ, পরকাল ইত্যাদি ভুলে গিয়ে শুধু দুনিয়া দুনিয়া করতে করতে বিভিন্ন অনৈসলামিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে “রডের বদলি বাঁশ” দিয়েও নির্মাণ কাজ করতে পিছপা হয় না; যদিও তারা মুসলমান।
পক্ষান্তরে, মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা দুনিয়া বাদ দিয়ে শুধু পরকাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং পরকালের প্রতি এতই অন্ধ হয়ে যায় যে, নিজের জন্য সম্মানজনক জীবিকার সন্ধানে অক্ষম হয়ে হাত পাততেও কুণ্ঠাবোধ করে না। অথচ নবী (সাঃ) এর শিক্ষা হচ্ছে, “নিচের হাত হতে উপরের হাত উত্তম”। কোন কোন ক্ষেত্রে ভিক্ষাবৃত্তিকে পাপের কাজ বলেও উল্লেখ করেছেন।

…رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ  حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

“…. হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন, পরকালে কল্যাণ দান করুন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন”।
উপরের দোয়ার আয়াত থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, আল্লাহর কাছে দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় জগতের কল্যাণ কামনা করার শিক্ষা মহান আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। অথচ আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমরা যে কোন এক দিকের কল্যাণ লাভ করতে পারি। উভয় জগতের কল্যাণ লাভের সুযোগ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় নেই বললেই চলে। এ অভাব দূরীকরণার্থে আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছি, যেন কোন ছেলে/মেয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে উভয় জগতের কল্যাণ লাভ করতে সক্ষম হয়।
তাছাড়া, “শিক্ষিত লোকেরা বাবা-মাকে দেখে না, শিক্ষিত লোকেরা গ্রামে আসে না, শিক্ষিত লোকেরা গরীবকে দেখে না” এ ধরনের কথাও গ্রামে গঞ্জে চালু আছে।
দুনিয়াবী জ্ঞানের পাশাপাশি কোন ছেলে/মেয়ে যদি দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করে, তাহলে সে উক্ত দোষে দোষী হবে না বলে আশা করা যায়। দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত একজন ব্যক্তি জানবে কোর’আনে বাবা-মা সম্পর্কে কী বলা আছে, তাদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে, প্রতিবেশীর কী হক্ক আছে, আত্মীয়তার কি হক্ব আছে, গরীবের প্রতি আচরণ কেমন হওয়া উচিত এবং কথা বলার আদব ইত্যাদি।

মাদ্রাসা ফর রুরাল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট  (এম. আর. সি. ডি.) হবে একটি ব্যতিক্রমী শিক্ষা  কর্মসূচি। সময়ের শেষ পরিক্রমা পর্যন্ত সর্বাবস্থায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া  তা’আলা প্রদত্ত শাশ্বত ইসলামি ব্যবস্থার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরাই এর প্রয়াস।

আমাদের ইচ্ছা জাগতিক শিক্ষার সাথে পরকাল ভিত্তিক জীবন চেতনা ও  ইসলামি মূল্যবোধের একটি যথাযথ সমন্বয় গড়ে তোলা। আমাদের সাধনা  হবে আল্লাহ তা’আলার আনুগত্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা এবং  এর মুক্বাবিলায় চলমান বা দৃশ্যমান ভুল আক্বীদাহ এবং অন্য যেকোন ভুল  বিষয় বা বিষয়সমূহকে প্রত্যাখ্যান করা। মাদ্রাসা ফর রুরাল কমিউনিটি  ডেভেলপমেন্ট তার অভিযাত্রায় যে দৃষ্টিকল্প (MRCD) পালন করবে এবং  যে কারিকুলাম এখানে ব্যবহৃত হবে, সে সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা এখানে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা আশা করি চিন্তাশীল  অভিভাবক, যাঁরা মহান আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন অনুশীলনে  বদ্ধপরিকর, তাঁদের জিজ্ঞাসু ও কৌতূহলী মনে এ আহ্বান যথাযথ সাড়া  জাগাবে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:  
১২ বছর বয়স পূর্তির পূর্বে জীবন ও শিক্ষা অর্জনের প্রারম্ভিক বছরগুলো  শিশুদের জীবন গঠনের দিক থেকে নিঃসন্দেহে একটি নাজুক বা  সংবেদনশীল পর্যায়। এ সময়ে তাদের চিন্তা ও চেতনায় যদি ভুল  আক্বীদাহ ও মূল্যবোধ প্রোথিত হয়, তাহলে জীবনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত  সেটা অবলোপন করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। পিতা-মাতা,  শিক্ষক-অভিভাবক আমরা, যারা দৃঢ় ঈমান নিয়ে সীরাতুল মুসতাক্বীমের  পথে এগিয়ে যাওয়া কামনা করি, তারাও অনেকেই মারাত্মক রকমের ভুল  করে চলেছি। আমরা ‘আধুনিক শিক্ষা’ ‘আলোকিত জীবন’ প্রভৃতির  চিত্তাকর্ষক আহ্বানে বিভ্রান্ত হয়ে ঈমান আক্বীদাহ বিবর্জিত এবং ইসলামের  সাথে সাংঘর্ষিক চেতনা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ব্যবস্থা এবং তাদের কাছ  থেকে পাওয়া বিপুল বই, সাহিত্য এবং তাদের চিন্তা-চেতনা সৃষ্ট বিষয়বস্তু  কোন প্রকার বাছ-বিচার ছাড়াই আমাদের সন্তানদের জন্য উন্মুক্ত করে  দিয়েছি। বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকে ধর্মান্তরিত ইউরোপীয় মনীষী  মুহাম্মদ আসাদ এ সমস্যাটিকেই তাঁর লেখনীতে তুলে ধরেছিলেন এভাবে:  
“Except in rare cases, where a particularly brilliant mind may triumph over the educational matter. Western  education of Muslim youth is bound to undermine their  will to believe in the message of the prophet, their will  to regard themselves as representatives of the religiously motivated civilization of Islam.”   (পৃষ্ঠা-৬৩, Islam at the crossroads, আসাদ)

সংগত কারণেই সম্ভাব্য এ বিপর্যয় এড়াতে পাশ্চত্য সাহিত্য, মূল্যবোধ,  কৃষ্টি, নৈতিকতা (মূলত অনৈতিকতা) প্রভৃতির শ্রেষ্ঠত্বের অমূলক ধারণা  তাদের অপরিপক্ক অথচ নিষ্কলুষ ও দূষণমুক্ত মস্তিষ্কে অনুপ্রবেশ করার  আগেই সেখানে আল্লাহ তা’আলার দ্বীন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম) এর সুন্নাহ সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারণার ভিত গড়ে দিতে হবে। আমরা, শিশুদেরকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা, কুরআনের আরবি শিক্ষা  এবং তাজবীদ (শুদ্ধ উচ্চারণে কুরআন তিলাওয়াত) প্রশিক্ষণ দেব  ইনশা’আল্লাহ! সাথে থাকবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পরিবেশ বিজ্ঞান  এবং সামাজিক বিজ্ঞান। অষ্টম শ্রেণীর পর আগ্রহ অনুযায়ী নিম্নের ভাগে বিভক্ত হবে

১) এস এস সি
২) দাখিল
৩) কারিগরী (ভকেশনাল) 

ইনশা’আল্লাহ! এস এস সি (বা সমমানের) পাশের সাথে সাথে কুরআনের (সম্পুর্ণ বা সর্ব নিম্ন ৫ পারার) হাফিজ হবে। আরবী ও ইংরেজী ভাষায় কথা বলাসহ কুরআন বুঝে বুঝে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।

সময়ের সাথে সাথে একটি করে ক্লাস বৃদ্ধি  করতে করতে, আমরা ইনশা’আল্লাহ দশম শ্রেণি পর্যন্ত এবং উৎসাহ পেলে আরও বিস্তৃত করে উচ্চতর শিক্ষার বিষয়েও পদক্ষেপ অব্যহত থকবে  ।  এখানে শিক্ষার মাধ্যম হবে বাংলা, আরবী ও ইংরেজী । বাংলা ও ইংরেজীর সাথে কুরআনের আরবি ভাষাও যথাযথ গুরুত্ব সহকারে শিক্ষা দান করা হবে ইনশা’আল্লাহ্, যাতে  শিক্ষার্থীরা সময় ও পরিবেশের চাহিদা ও প্রয়োজনের উপযোগী হয়ে গড়ে  উঠতে পারে। কুরআন-হাদীস এবং সম্ভাব্য সকল ইসলামি উৎস থেকে  আমরা পাঠ উপকরণ সংগ্রহ করতে চেষ্টা করবো। ইতিহাস পড়াতে  আমরা প্রথমেই বেছে নেব ইসলামের সোনালী অতীত। একইভাবে,  পরিবেশ বিজ্ঞানের বেলায় আমরা আল-কুরআনে আল্লাহ্ তা’আলা যে সমস্ত  নিদর্শনের উল্লেখ করেছেন, সেগুলোকে সম্পৃক্ত করে পাঠদান করবো।  এভাবে আমরা চাইবো ১২ বছর বয়সে পৌঁছানোর পূর্বেই শিশু যেন  ইসলামি জ্ঞান ও মূল্যবোধের একটি মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে যায়। 

দেশের পরিবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা অনুযায়ী, আমরা পিইসিই, জেএসসি এবং  এসএসসি-পর্যায়সমূহকে সামনে রেখে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জাতীয়  কারিকুলামের অনুবর্তী করে তুলব, যাতে তারা হালাল কর্মসংস্থান ও  পরিচ্ছন্ন জীবন নির্বাহের সংগ্রামে সফলভাবে আত্মনিয়োগ করতে পারে।  আমরা বাংলাদেশে বসে তাদের যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের স্বপ্ন দেখাবো না।  সবাইকে ছেড়ে একা ভালো থাকার স্বার্থপর স্বপ্ন নয়; বরং আল্লাহ্ তাঁর  “ক্বদর” অনুযায়ী যে আমাদের, বহু নিয়ামতের এই ভূ-খন্ডে জন্ম  দিয়েছেন-সেজন্য শুকরিয়া জানিয়ে, এই ভূখন্ড নিয়ে ভালো থাকার স্বপ্ন  দেখাবো ইনশা’আল্লাহ! 

ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ: 
ইনস্টিটিউট ফর রুরাল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (আই আর. সি. ডি.) এর  সদস্যদের সমন্বয়ে  গঠিত ওঈউুর একটি সাব-কমিটি, মাদ্রাসা ফর রুরাল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের  (ঝঈউ) ম্যানেজিং কমিটি হিসেবে কাজ করবে এবং স্কুলের প্রশাসন ও  ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব থাকবে। 

প্রশাসন:  
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাগত দিক পরিচালিত হবে পেশাগতভাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ  শিক্ষকমন্ডলীর দায়িত্বে। প্রশাসন, হিসাব, নিরাপত্তা প্রভৃতি কাজ সম্পন্ন  করতে নিয়োজিত থাকবে আলাদা একটি উপযুক্ত টিম। 

পাঠ্যসূচি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়: 
ইনস্টিটিউট ফর রুরাল  কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (IRCD) [৪ (চার) সদস্য  বিশিষ্ট একটি টিম] উপরে বর্ণিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের আলোকে পাঠ্যসূচি  প্রণয়নের কাজে রত আছে। এটি ধারাবাহিক গবেষণাধর্মী একটি কর্মসূচি  হিসেবে অব্যাহত থাকবে। ইসলামের আদর্শিক দিক এবং হারাম নয়  এমন পার্থিব বিষয়াদির বাস্তবানুগ চাহিদার ভিত্তিতে পাঠ্যসূচির  মানোন্নয়নের জন্য সংযোজন ও পরিমার্জনের প্রচেষ্টা দীর্ঘ মেয়াদী একটি  কার্যক্রম হিসেবে থাকবে। 

শ্রেণি বিন্যাস ও পাঠদান ব্যবস্থাপনা:

শ্রেণি 

বয়স 

পাঠ্য বিষয় সমূহ

ইসলাম শিক্ষা

সাধারাণ শিক্ষা

নার্সারি

০৫ বছর বা বেশী

কায়দা

আরবি-০

ইসলাম-০

বাংলা

ইংরেজি

গণিত

কেজি

০৬ বছর  বা বেশী

কায়দা/ আম্মাপারা

আরবি

ইসলাম

বাংলা

ইংরেজি

গণিত

১ম শ্রেণি

০৭ বছর  বা বেশী

আম্মাপারা/ নাজেরা

আরবি-১

ইসলাম-১

বাংলা

ইংরেজি

গণিত

২য় শ্রেণি

০৮ বছর  বা বেশী

নাজেরা/ হিফজ-১

আরবি-২

ইসলাম-২

বাংলা

ইংরেজি

গণিত

৩য় শ্রেণি

০৯ বছর বা বেশী

হিফজ-১/ হিফজ-২

আরবি-৩

ইসলাম-৩

বাংলা

ইংরেজি

গণিত

৪র্থ শ্রেণি

১০ বছর  বা বেশী

হিফজ-২/ হিফজ-৩

আরবি-৪

ইসলাম-৪

বাংলা

ইংরেজি

গণিত

৫ম শ্রেণি

১১ বছর  বা বেশী

হিফজ-৩/ শুনানি

আরবি-৫

ইসলাম-৫

বাংলা

ইংরেজি

গণিত + সরকারী সিলেবাস

 

৬ষ্ঠ শ্রেণি

১২ বছর  বা বেশী

শুনানি/ হিফজ-৪

আরবি-৬

ইসলাম-৬

বাংলা

ইংরেজি

গণিত + সরকারী সিলেবাস

৭ম শ্রেণি

১৩ বছর বা বেশী

শুনানি/ হিফজ-৫

আরবি-৭

ইসলাম-৭

বাংলা

ইংরেজি

গণিত + সরকারী সিলেবাস

৮ম শ্রেণি

১৪ বছর  বা বেশী

শুনানি/ হিফজ-৬

আরবি-৮

ইসলাম-৮

বাংলা

ইংরেজি

গণিত + সরকারী সিলেবাস

এস এস সি / দাখিল / কারিগরী (ভোকেশনাল) প্রস্তুতি

৯ম শ্রেণি

১৫ বছর  বা বেশী

শুনানি/ হিফজ

এস এস সি / দাখিল / কারিগরী (ভোকেশনাল) সেলেবাসভূক্ত বিষয় সমূহ

১০ শ্রেণি 

১৬ বছর   বা বেশী

শুনানি/ হিফজ

এস এস সি / দাখিল / কারিগরী (ভোকেশনাল) সেলেবাসভূক্ত বিষয় সমূহ

 *নার্সারি ও কেজি পর্যন্ত  ছেলে ও মেয়েদের  যৌথভাবে পাঠদান 

১ম ও তদূর্ধ্ব শ্রেণিতে  ছাত্র/ছাত্রীদের পৃথক  ব্যবস্থা 

স্কুলের শিক্ষা বর্ষ হবে জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত  এবং এটি তিনটি টার্মে বিন্যস্ত হবে।

শিক্ষক-অভিভাবক সভা: 
পিতা-মাতা বা অভিভাবকবৃন্দের সাথে স্কুলের অধ্যক্ষ, ক্লাস টিচারদের  উপস্থিতিতে প্রতিটি সাময়িক পরীক্ষার পূর্বে “প্যারেন্টস মিটিং” অনুষ্ঠিত  হবে। এ সকল সভায় সব ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং  প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য পিতা-মাতা/অভিভাবকবৃন্দের পরামর্শ ও  অভিমত গুরুত্বের সাথে বিবেচনার জন্য গৃহীত হবে। 

কারিকুলাম বহির্ভূত কার্যক্রম: 
শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নতির জন্য আর্টস এন্ড ক্রাফটস ও বিজ্ঞান মেলা,  ক্বিরাত প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,  দেয়ালিকা, সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠান প্রভৃতি আয়োজন করা হবে।  এছাড়া প্রতি বছর শিক্ষা-বিনোদন ভ্রমণ আয়োজন করা হবে এবং  শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা অর্জনের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীরা  বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষা অর্জনেও যাতে অগ্রণী হয় সে জন্য তাদেরকে  এসব কাজে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা হবে। 

বিদ্যালয় গ্রন্থাগার:  
লাইব্রেরী হচ্ছে জ্ঞানগৃহ। শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল লাইব্রেরীকে শিক্ষানুশীলনের  কেন্দ্র গণ্য করা হয়। মাদ্রাসা ফর রুরাল কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট একটি মানসম্পন্ন  পাঠাগার পরিচালনা করবে যাতে প্রয়োজনীয় সকল শ্রেণির পাঠ্যচাহিদা  পূরণ নিশ্চিত হয়। 

ভর্তি: 
এ প্রতিষ্ঠানের সকল পর্যায়েই ভর্তির বিষয়টি আসনের শূন্যতা সাপেক্ষে  বিবেচিত হবে। ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।  নভেম্বর ২৫ থেকে ফরম সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক বছরে জানুয়ারি  মাসের ১ম সপ্তাহের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হবে।  

কেবল বিশেষ ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, আসনের শূন্যতা সাপেক্ষে বছরের  অন্যান্য সময়ে ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। 

অর্থের জন্য শিক্ষা পাবে না !!! তা হবে না, তা হবে না।।।
সাধ্য মত সবার জন্য মান সম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করাই এ প্রতিষ্ঠানের মুল লক্ষ্য
আবেদন ফরম এবং প্রসপেক্টাস ১২০/-
ভর্তি ফি ২,৫০০/-
মাসিক বেতন (নার্সারি-কেজি শ্রেণী) ৬০০/-
মাসিক বেতন (১ম-২য় শ্রেণী) ৭০০/-
মাসিক বেতন (৩য়-৪র্থ শ্রেণী) ৮০০/-
বার্ষিক চার্জ: ১৫০০/-
পরিশোধের সময় সীমা:মাসিক  
টিউশন ফি প্রত্যেক মাসের ৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
ভর্তির সময় এক কালীন প্রদেয়ঃ ভর্তি ফি + তিন মাসের বেতন